বিনোদন ডেস্ক
মেক্সিকান ইনফ্লুয়েন্সার ও টিকটক তারকা ডেনিস রেয়েস মাত্র ২৭ বছর বয়সে এক অকাল মৃত্যুর মুখে পড়েছেন। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য লাইপোসাকশন সার্জারি করানোর পর পরবর্তী জটিলতা তাকে মৃত্যুর কোলে নিয়ে যায়। ডেনিস রেয়েস ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে মেক্সিকোর চিয়াপাসের টাক্সটলা গুতেরেজ শহরের সান পাবলো মেডিকেল ক্লিনিকে লাইপোসাকশন সার্জারি করান। তবে এই ক্লিনিকটি অনুমোদনহীন ছিল এবং চিকিৎসা সেবা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। নিয়ম অনুযায়ী, ডেনিসের অস্ত্রোপচারের আগে তাকে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, যা পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ করে তোলে। অস্ত্রোপচারের পর শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ার কথা বললেও, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আচমকাই তার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। রেয়েসের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, তাকে দ্রুত অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, কারণ অস্ত্রোপচারকারী ক্লিনিকে আইসিইউ ছিল না। সেখানে স্থানান্তরের পরেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি এবং অবশেষে ২৯ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়। ডেনিস রেয়েস, যিনি সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিতভাবে তার শারীরিক অবস্থা এবং অস্ত্রোপচারের পরবর্তী আপডেট শেয়ার করতেন, মৃত্যুর পর তার পরিবার এই ঘটনার জন্য চিকিৎসক ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসা পদ্ধতিতে অবহেলার কারণেই তাদের প্রিয়জনকে তারা হারিয়েছেন। এছাড়া, ডেনিসের মৃত্যুর মাধ্যমে এটি একটি বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কসমেটিক সার্জারি এবং শরীরের সৌন্দর্য চাওয়ার মানসিকতার ঝুঁকি নিয়ে। নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্য অর্জনের জন্য এতটা ঝুঁকি নেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্তÑএ প্রশ্ন এখন অনেকের মনে। পরিবার এখন ন্যায়বিচারের দাবিতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। ডেনিস রেয়েসের অকাল মৃত্যু শুধু তার পরিবারকেই শোকাহত করেছে না, বরং পুরো সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত্যুর ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata